নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার প্রচারণায় নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন প্রযোজক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল। সেকারণে আজকাল নিয়মিত কথা বলছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।
সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্যও উঠে আসছে সেসব আলাপনে। তারই ধারাবাহিকতায় নিজের সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য দিলেন এই ব্যবসায়ী অভিনেতা।
শনিবার (১৬ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কি না আমি জানি না। আমি কখনও টাকা সেভিংস করি না। যত টাকা ইনকাম করেছি, সেটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বাড়িয়েছি। আমার ভাই যখন প্রতিষ্ঠান শুরু করেন তখন মাত্র ২০০ লোক কাজ করত। আমি যখন কোম্পানিতে আসি, তখন ৪০০ লোক কাজ করত। আর এখন সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। ৬৪ বিঘার ওপর কারখানা। যতটুকু ইনকাম করি সেটা ইনভেস্ট করি আর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাই। মরার পর ব্যাংক-ব্যালেন্স কারও সঙ্গে যাবে না।’
প্রত্যেক বাবা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করলেও অনন্ত তা করেননি উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার পরিবারও আরিজ-আবরারের (অনন্ত জলিলের দুই ছেলে) জন্য ২-১টা ডিপোজিট করতে বলে। আমি তাদের একটাই কথা বলি, আমার বাবা আমার জন্য ডিপোজিট করেননি। আমার পেছনে ইনভেস্ট করেছে, আমাকে শিক্ষিত করেছেন। আমাকে কেন আমার সন্তানদের জন্য ডিপোজিট করে যেতে হবে। তাদের তো ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। নিজেদের বাড়ি আছে। ওরা নিজেরা কিছু করতে না পারলে আমি দায়ী না। তাদের পড়াশোনা করানো পর্যন্ত আমার দায়িত্ব।’
সম্প্রতি অনন্ত তার এক ভক্তকে চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা দান করেছেন। সেই সঙ্গে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন। এর আগে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। অসহায় বানভাসিদের সহায়তায় তিনি ৩০ লাখ টাকা দেবেন বলে ঘোষণা করছিলেন।
Leave a Reply