পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর ৪ টা ৫৫ মিনিটে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটির একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।এদিকে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ৫ টা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছে।
অপরদিকে সান্তাহার রেলস্টেশনে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে ট্রেনযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ট্রেনযাত্রীদের কেউ-কেউ বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।
আক্কেলপুর স্টেশন মাস্টার খাদিজা আকতার বলেন , পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস (৬০৭) নম্বর ট্রেনটি শনিবার ভোর চারটা ৪৮ মিনিটে আক্কেলপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পর আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটি একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি তিলকপুর রেলস্টেশনে আটকে রয়েছে। এরপর ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর পাঁচটা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর ঢোকে। তখন থেকে ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকে আছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার রেলস্টেশনর আটকে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেন আটকা পড়ায় তিলকপুরের রেলওয়ের লেভেল ক্রসিং গেটটি বন্ধ ছিল। একারনে আক্কেলপুর রেল স্টেশনে আটকে থাকা নীল সাগর ট্রেনের ইঞ্জিন গিয়ে ওই লেভেল ক্রসিং গেট ফাঁকা করে যানচলাচলের জন্য স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিনে আজ সকাল সাড়ে আটটায় আক্কেলপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেনটির ছাঁদ ও বগিতে কোথাও ফাঁকা নেই। লাইন সচল হতে দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাসযোগে বগুড়ায় যাচ্ছিলেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ঢাকায় চাকরি করেন। আজ শনিবার সকালে কাজে যোগদান করার কথা ছিল। তাই তিনি রাতের ট্রেনে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে ছাড়বে। তাই তিনি ট্রেন থেকে নেমে বাস যোগে বগুড়া হয়ে ঢাকায় যাবেন।
সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ট্রেনে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। তারপরও কষ্ট করে ছাঁদে উঠেছিলাম। একটি ট্রেন সামনের রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়ায় রোদ ও গরমে ট্রেনের ছাঁদে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply