নওগাঁর সাপাহার জিরো পয়েন্ট ইসলামি ব্যাংক এটিএম বুথের পাশে অবস্থান করছিল বয়স্ক এক নারী। সেই দৃশ্য ধারণ করে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে বিষয়টি নজরে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুনের।
এরপর ইউএনও ওই বয়স্ক নারীকে তার কার্যালয়ে এনে ১০কেজি চাউল ও ভ্যান ভাড়া দিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং বিভিন্ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।
ইউএনও জানান,এর আগেও আমার কাছে এসেছিল আমি তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার বা সন্তানদের মোবাইর ফোন নাম্বার চাইলে সে কোন ফোন নাম্বার দিতে পারে না তখন খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তার দুই সন্তান আচেন।
এক সন্তান তৃতীয় লিঙ্গের আরেক সন্তান ঢাকায় অবস্থান করছে ফোন কেনার টাকাটাও তার কাছে না থাকার কারনে আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল হতে তাকে একটি ফোন ও সীম কিনে দেই এবং আমরা তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছি তবে দুঃখজনক বিষয় হলো বয়স্ক মহিলাটির ফোনে ভাতার টাকা আসার পর কোন এক প্রতারক বিকাশের দোকানে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ওই বিকাশের এজেন্ট তার সীমে আসা টাকা উত্তোলন করে নেন এবং সীমটিও নিয়ে নেন।
তিনি আরোও জানান,আমি সীমটি তুলে তাকে তার বয়স্ক ভাতার টাকা তিন মাস পরপর উত্তোলনের ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করেছি যাতে করে তার টাকা কেউ আত্নসাত করতে না পারে এবং তার বাড়ি ঘর মেরামতের জন্যে সমাজসেবা কার্যলয় থেকে টিন নিয়ে তার বাড়ি ঘর মেরামত করে দিব যদি সে আশ্রয়নের ঘরে থাকতে চান তাহলে আমরা তারও ব্যবস্থা করে দিব এই বয়স্ক মহিলাকে আমরা অনেকদিন ধরেই সহযোগিতা করে আসতেছি এবং তার পাশে আছি। বয়স্ক মহিলার নাম ফিরুজা বেগম ডাক নাম ফুলমন কামাসপুর মোন্নাপাড়া।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রদান করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইডএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন।
Leave a Reply